একযোগে বোমা হামলা: অনেক মামলা ঝুলে আছে নিম্ন আদালতে
প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়েছিল জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের ওই হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন দুই জন। আহত হয়েছিলেন অনেকে। এ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে মামলা হয় ১৫৯টি। এসব মামলার কোনোটির বিচার শেষ হয়েছে।'
তবে সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে অনেক মামলার বিচার এখনও নিম্ন আদালতে ঝুলে আছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় হাইকোর্টে আসা আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের বিষয়ে চলছে পেপারবুক তৈরির কাজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের মোট ৪৫০টি স্থানে পাঁচ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি'র সদস্যরা। সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি-আধা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার পর দায়ের করা ১৫৯টি মামলার মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারকাজ শেষ হয়েছে ৯৭টির। বিচারাধীন ৪৬টি মামলা। মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছিল ২৪২ জনকে। অভিযোগপত্রের আসামি ১ হাজার ১২১ জন। নিম্ন আদালতে বিচার শেষ হওয়া ৯৭টি মামলার মধ্যে ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। যার মধ্যে জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ ২৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
-এছাড়াও বিচারিক আদালত থেকে ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি এবং ৩৫৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। পর
ে সেসব রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করা হয়।জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জেলার সিনিয়র
একযোগে বোমা হামলা: অনেক মামলা ঝুলে আছে নিম্ন আদালতে
সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মান্নান ও ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন।
ওই ঘটনার মামলায় জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, খালেদ সাইফুল্লাহ, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল ও ইফতেখার হাসান আল মামুনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। এরপর সে রায় সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল থাকে। কার্যকর হয় ছয় আসামির ফাঁসি। একই ঘটনায় হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ঢাকায় আরও ৫টি মামলা বিচারাধীন। সেসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিচারাধীন মামলাগুলোর প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু ২৪খবরবিডিকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যথাসময়ে আদালতে সাক্ষী হাজির করাটা সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। তাই এসব মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি সময় লাগছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দীর্ঘদিন চলমান এসব মামলার বিচার শেষ করতে।
'হাইকোর্টের মামলাগুলোর বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ২৪খবরবিডিকে বলেন, দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলায় রায় হয়েছে। সেসব মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শুনানির আগে পেপারবুক তৈরি করতে হয়। সে প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত এসব মামলার নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।'